২১ টি স্টিফেন হকিং এর নির্বাচিত সেরা উক্তিসমূহ
মহাবিশ্ব সৃষ্টির রহস্য “বিগ ব্যাং থিওরির” প্রবক্তা স্টিফেন হকিং বর্তমান সময়ের শ্রেষ্ঠ তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী।তিনি ৮ জানুয়ারি ১৯৪২ সালে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ডে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। মাত্র ২১ বছর বয়সে দুরারোগ্য মোটর নিউরন ব্যধিতে আক্রান্ত হলেও থেমে থাকেনি তার গবেষণা।শারীরিক অক্ষমতা তাকে বিখ্যাত হওয়া থেকে পিছিয়ে রাখতে পারেনি। তার গবেষণা ও আবিষ্কারকে থামিয়ে দিতে পারেনি বরং প্রিন্স অফ অস্ট্রিয়াস পুরস্কার, জুলিয়াস এডগার লিলিয়ান ফ্রেন্ডস পুরষ্কার, উলফ পুরষ্কার, কোহলি পদক হিউ পদক, অ্যালবার্ট আইনস্টাইন পদকসহ অসংখ্য সম্মানের অধিকারী হয়েছিলেন তিনি।
স্টিফেন হকিং-এর মূল্যবান ও বিখ্যাত ২১ উক্তি যা মানুষেকে যুগে যুগে অনুপ্রেরণা দিয়ে যাবে।
১। পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াই হলো বুদ্ধিমত্তা।
২। তুমি যদি সব সময় রেগে থাকো, ক্রমাগত অভিযোগ করো, তোমার জন্য লোকের সময় হবে না।
৩। কোনওকিছুই পূর্বনির্ধারিত নয়। মনের বিশ্বাস থাকলে আপনি অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে যেতে পারেন।
৪। ‘আপনি ভুল করেছেন’, এমন কথা আপনাকে যদি কেউ বলে তাঁকে বলবেন ভুল করা জরুরি। ভুল না করলে আমি আপনি কেউই বেঁচে থাকবো না।
৫। যদিও আমি নড়াচড়া করতে পারি না, কম্পিউটারের সাহায্যে কথা বলি। কিন্তু ভাবনার জগতে আমি স্বাধীন।
৬। জীবনে হাসি ঠাট্টা না থাকলে জীবনটা খুবই ছন্দহীন হয়ে যেত।
৭। প্রথমত, মাটির দিকে নয়, বরং আকাশের ওই তারাগুলোর দিকে চোখ রাখতে কখনো ভুলো না। দ্বিতীয়ত, তুমি যা-ই করো না কেন, হাল ছেড়ো না। তোমার কাজই তোমাকে জীবনের অর্থ আর উদ্দেশ্য খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। কাজ ছাড়া জীবনটা নিরর্থক। তৃতীয়ত, তুমি যদি ভালোবাসা পাওয়ার মতো যথেষ্ট সৌভাগ্যবান হও, তবে এই ভালোবাসাকে কখনো ছুড়ে ফেলো না।
৮। বছর বয়সেই আমার প্রত্যাশা শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছিল। এরপর জীবনে যা পেয়েছি, সবটাই ‘বোনাস’।
৯। যদি আপনি সবসময় রাগান্বিত থাকেন এবং অভিযোগ করে করতে থাকেন কেউ আপনার জন্য নিজের মূল্যবান সময়টুকু দিতে চাইবে না।
১০। যারা নিজের বুদ্ধিমত্তা নিয়ে অহংকার করে, তারাই সবচেয়ে বোকা হয়।
১১। জীবনে ভুল করা দরকারি। ভুল না করলে আমি বা আপনি কেউই বেঁচে থাকব না
১২। মানুষ কথা বলেই সবথেকে বেশি সাফল্য লাভ করে । মানুষের ব্যর্থতার কারণও আলাপচারিতা। তাই কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়া উচিত। না।
১৩। মানুষ সাধারণত সাহায্য করতে প্রস্তুত থাকে। তোমার কাজ হলো নিজের সেরাটুকু দেওয়া এবং তাকে বোঝানো যে তার সাহায্য বৃথা যায়নি।
১৪। বাইরে যে মানুষটা নীরব, মাথার ভেতর সে-ই সরব।
১৫। এখনও আমি অত বড় হয়ে উঠতে পারিনি। আমি এখনও প্রশ্ন করে বেড়াই।
১৬। যদি আপনি কোনো বিষয়ে আশা না ত্যাগ করেন তাহলে এখনো আপনি সেই বিষয় নিয়ে ভাবেন।
১৭। মৃত্যু নিয়ে আমি ভীত নই। কিন্তু মরার জন্য তাড়াও নেই আমার। তার আগে করার মতো অনেক কিছু আছে আমার।
১৮। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আদিম রূপ ইতিমধ্যেই আমাদের হাতে আছে, যা খুব প্রয়োজনীয় বলে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। তবে আমি মনে করি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পূর্ণাঙ্গ বিকাশ মানবজাতির অস্তিত্বের জন্যই হুমকির কারণ হবে।
১৯। জীবনটা যতই কঠিন মনে হোক না কেন, সব সময় তোমার নিশ্চয়ই কিছু না কিছু করার এবং সফল হওয়ার সুযোগ আছে।
২০। আমি স্রেফ একটা শিশু, যে কখনো বড় হয়নি। শিশুর মতোই আমি এখনো ‘কেন’, ‘কীভাবে’—এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজি। কদাচিৎ উত্তর পেয়েও যাই।
২১। জীবন যেমনি কঠিন হোক না কেন, অবশ্যই এমন কিছু রয়েছে যা তুমি করতে পারবে এবং সে আজ তুমি সফল হবে।
হুইল চেয়ারে বসে থেকে স্টিফেন হকিং যে অবদান রেখে গেছেন তা উপলব্ধি করার মত সামর্থ্যও অনেক মানুষের নেই। তার চিরবিদায় মানুষের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তবে স্টিফেন হকিংয়ের জীবনী ও উক্তি চিরভাস্বর হয়ে মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে, উদ্যমী করবে ও যেকোনো প্রতিকূলতায় শক্তি যোগাবে।
