চাকরির পাশাপাশি কি কি ব্যবসা করা যায়

চাকরির পাশাপাশি ব্যবসাঃ বাড়তি আয়ের ১৫টি সহজ উপায় জেনে নিন।

আপনি চাকুরীজীবী এবং বাড়তি আয়ের উৎস খুঁজছেন? চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা হল একটি উত্তম পন্থা যা করে আপনি আপনার রোজগারকে একটু বাড়িয়ে নিতে পারেন। কিন্তু যেকোনো ব্যবসা কি চাকরির পাশাপাশি করা যায়? 

একজন চাকুরীজীবী নিজের অফিসের কাজ শেষ করে বাড়তি সময় পান খুব কম। আবার ব্যবসা করতে হলে সেখানে সময় দেয়াটাও খুবই জরুরি। অবশ্য ব্যবসায় ভাল আয় হলে কাউকে বেতনের বিনিময়ে দায়িত্ব দিয়ে ব্যবসার পরিসরকে বড় করা যাবে। 

এক্ষেত্রে আপনাকে এমন কোন ব্যবসা খুঁজে নিতে হবে যা করে আপনি লাভবান হবেন কিন্তু সময়ের ব্যবস্থাপনায় ব্যাঘাত ঘটবে না। আসুন জেনে নেই চাকরির পাশাপাশি কি কি ব্যবসা করা যায় সে সম্পর্কে। 

চাকরির পাশাপাশি কি কি ব্যবসা করা যায়?

চাকরি রক্ষা করে ব্যবসা করা কিছুটা কষ্টসাধ্য কাজ। তাই হুট করে ব্যবসায় না নেমে সবদিক যাচাই করুন আগে। আপনি যে ব্যবসাটি নিয়ে ভাবছেন তার সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুন। আপনি কতটুকু সময় দিতে পারবেন, কিভাবে এগোবেন সব কিছুর একটা পরিকল্পনা তৈরি করুন। 

সঠিক পরিকল্পনা ও লক্ষ্য, সদিচ্ছা ও কাজের প্রতি একাগ্রতা থাকলে একসময় আপনার ব্যবসাই হতে পারে উপার্জনের সবচেয়ে বড় উৎস। কি কি ব্যবসাকে আপনি এজন্য বেছে নিতে পারেন তা নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হল।

১। অনলাইনে কোর্স তৈরি 

আপনি হয়তো এমন কোন বিষয়ে ভাল জানেন যা সম্পর্কে মানুষের শেখার আগ্রহ আছে বা সেই জ্ঞান অর্জন করে অনেক বেকার নিজেদের আয়ের পথ খুঁজে পায়। তাহলে আপনার অবসর সময়ে সেই বিষয়ের উপর একটি কোর্স তৈরি করুন। 

কোর্স তৈরিতে আপনার লাগবে একটি কম্পিউটার, সফটওয়্যার, ভালোমানের ক্যামেরা, একটি মাইক্রোফোন এবং পর্যাপ্ত লাইটিং এর ব্যবস্থা। আপনি চাইলে ভিডিও আকারে কোর্স তৈরি করতে পারেন। এক্ষত্রে ভিডিও এডিটিং জানতে হবে। অথবা আপনি চাইলে লিখিত আকারে, পিডিএফ বা ই-বুক এর মাধ্যমে কোর্স তৈরি করতে পারেন। 

আপনার কম্পিউটারের ব্যবহার সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। সুন্দর ও সহজ উপস্থাপনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শেখাতে জানতে হবে। তাহলে এই কাজে আপনি সফল হতে পারবেন। 

২। শিক্ষকতা 

চাকরির পাশাপাশি কোচিং করানো আমাদের দেশে মোটামুটি জনপ্রিয়। অনেকেই এই কাজটি করেন। আপনার শিক্ষকতা পেশা ভালো লাগলে এবং শিক্ষার্থীদের বসানোর ব্যবস্থা করতে পারলে অফিস টাইমের পর আপনিও এই কাজটি করতে পারেন। 

অথবা, আপনার সময়ের সাথে সামঞ্জস্য করতে না পারলে বা শিক্ষার্থী জায়গা দেয়ার সমস্যা থাকলে অনলাইনেও জুম বা এই জাতীয় সফটওয়্যার এর সাহায্যে সরাসরি ক্লাস নিতে পারেন। 

৩। রিসেলিং বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং 

বর্তমানে রিসেলিং ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিনা পুঁজিতে ঘরে বসে শুধু অনলাইনে অন্য কারও পণ্য বিক্রির মাধ্যমে আয়ের সুযোগ আছে এই মাধ্যমে। 

See also  গুরুত্বপূর্ণ জমির দলিল হারিয়ে গেলে তুলে নিন সহজেই

দেশের বিভিন্ন অনলাইন শপিং মার্কেটের পণ্য আপনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে ক্রেতা আনবেন। তাদের দেয়া অর্ডার সেই অনলাইন শপের নিকট পৌঁছে দিবেন। তারপর সেই অনলাইন শপের মালিকানায় যারা আছেন তারাই পণ্য ডেলিভারি করবে। এরপর আপনার কমিশন বা পাওনা আপনাকে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পাঠিয়ে দিবে। 

এই কাজে কিছু অসুবিধা আছে অবশ্য। পণ্য আপনার না হওয়ায় শপের মালিক আপনাকে যা বিস্তারিত জানাবে আপনি এর বেশি জানবেন না। তাই ক্রেতার সাথে কথা বলার ক্ষেত্রে কিছুটা ফাঁক থেকে যায়। এছাড়া পণ্য ক্রেতার পছন্দ না হলে বা খারাপ পণ্য গেলে তার জন্য ক্রেতার করা সমস্ত অভিযোগ আপনাকেই বহন করতে হবে। 

৪। লিখালিখি করে আয়

আপনার হয়তো গল্প, উপন্যাস বা কবিতা লিখতে ভালো লাগে। অথবা সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কিছু লিখতে ইচ্ছা হয়। আপনার এই ভালো লাগার কাজটিকে আয়ের পথ হিসেবে কাজে লাগাতে পারেন। 

আপনার লিখা কোন প্রকাশনী সংস্থার মাধ্যমে বই আকারে প্রকাশ করতে পারেন। অথবা ই-বুক এর মাধ্যমে অনলাইনে প্রকাশ করতে পারেন। যত পাঠক পাবেন বা যত বই বিক্রয় হবে সেই অনুযায়ী আপনার উপার্জন হবে। 

৫। ডোমেইন ফ্লিপিং 

আজকাল এই ব্যবসাও জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। আপনি কোন একটি নামের উপর ডোমেইন সাইটগুলো থেকে ডোমেইন কিনে রাখলেন। পরবর্তীতে একটি নির্দিষ্ট সময় পরে এই ডোমেইন এর চাহিদা বাড়লে তা বিক্রি করে দিবেন। এতে বাড়তি টাকাই আপনার লাভ। 

এই কাজে সময় খুব বেশি দেয়া লাগেনা। রিসার্চ এর জন্যই কিছু সময় ব্যয় হয়। এছাড়া কিছু টাকা বিনিয়োগ করে সেই ডোমেইন নেম কিনতে হয়। 

তবে আপনাকে ভালোভাবে রিসার্চ করে বের করতে জানতে হবে কি ধরনের নামের চাহিদা বাজারে আসতে যাচ্ছে বা কোন নামটি নিলে এর চাহিদা পাওয়া যাবে। সঠিক পরিকল্পনা করতে পারলে খুব অল্প পুঁজি ও অল্প পরিশ্রমে এই খাতে লাভ আনা সম্ভব। 

৬। হস্তশিল্প বিক্রি 

আপনি যদি হাতে তৈরি চুড়ি, মালা, গয়না, কুশিকাজের জিনিস, শোপিস ইত্যাদি তৈরিতে পারদর্শী হন তাহলে এই কাজের মাধ্যমেও আয় করা সম্ভব। অথবা কোন প্রস্তুতকারক থেকে এই জাতীয় জিনিস পাইকারিতে কিনে ব্যবসা করতে পারেন। 

হস্তশিল্পজাত জিনিসের চাহিদা অনেক। আপনি চাকরির পাশাপাশি অবসর সময়ে অনলাইনে এজাতীয় জিনিস বিক্রয়ের উদ্যোগ নিতে পারেন। এতে ভালো আয়ের রাস্তা তৈরি হবে। 

৭। ইউটিউবিং 

ইউটিউবে নানা ধরনের কন্টেন্ট তৈরি করে ভালো উপার্জন করছে অনেকেই। এবং এটি বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় একটি ব্যবসা। আপনার ভালো মানের কন্টেন্ট তৈরির ক্ষমতা থাকলে এবং একটি কম্পিউটার, ইন্টারনেট সংযোগ, ভালো ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন থাকলেই কাজটি করতে পারবেন। 

আপনি ছুটির দিনে একটি ভালো মানের ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ছাড়লেন। এরপর প্রোমোশনের জন্য কিছু মার্কেটিং ও এসইও এর কাজ করতে হবে। যত ভিউ বাড়বে তত আপনার আয় হবে। আপনি অফিসে কাজ করা অবস্থায়ও এই খাত থেকে আপনার আয় হতে থাকবে। 

See also  অল্প পুঁজি নিয়ে কাপড়ের ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন?

৮। নার্সারি 

বিভিন্ন ধরনের গাছের ব্যবসা করে ভালো উপার্জন করা যায়। আপনার যদি ন্যূনতম একটি ঘরের পরিমান জায়গা থাকে বা বাড়ির ছাদে জায়গা করতে পারেন, তাহলে সেখানে নার্সারি গড়ে তুলতে পারেন। বিভিন্ন জাতের ফল ফুল, ক্যাকটাস, পাতাবাহার, ঔষধি গাছের চারা নিয়ে ব্যবসা আরম্ভ করুন। সাথে এসব গাছের পরিচর্যায় যা প্রয়োজন তাও বিক্রি করুন। 

এধরনের গাছের চাহিদা প্রচুর। আপনার এই বিষয়ে ভালো জ্ঞান থাকলে এবং সঠিক পরিকল্পনা করে এগোলে সাফল্য পাবেন। নার্সারিতে থাকা গাছগুলোর যত্নের জন্য আপনার পরিবারের কাউকে দায়িত্ব দিতে পারেন বা কাউকে বেতনের বিনিময়ে রাখতে পারেন। 

৯। অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা 

অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা বর্তমানে বহুল আলোচিত ও সমালোচিত ব্যবসা। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর জন্য এই ব্যবসা খাতটি সমালোচিত হলেও অনেক মানুষই এখন এই কাজের দিকে ঝুঁকছে। কারন এই কাজে বিশ্বস্ততা অর্জন ও বজায় রাখতে পারলে লাভ অনেক বেশি। 

আপনি পাইকারিতে যেকোনো ক্যাটাগরির কাপড় এনে তা অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে পোস্ট করে, এসইও করে ও বুস্ট করে আপনার বিক্রি বাড়াতে পারবেন। অফিস টাইমের পর নিয়মিত এখানে সময় দিলেই যথেষ্ট। 

১০। গিফট শপ 

মানুষ নিজের আপনজন বা কাছের মানুষকে গিফট করতে খুবই ভালবাসে। আপনার একটি ভালো জায়গা থাকলে সেখানে দোকান তুলে বা কোন দোকান কিনে অথবা ভাড়া নিয়ে এরকম একটি শপ দিতে পারেন। অথবা শুধু অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে বিক্রির ব্যবস্থা করতে পারেন। 

আপনি যদি কিছু ইউনিক গিফট আইটেমের ব্যবস্থা করতে পারেন বা কম্বো গিফট আইটেম আনতে পারেন তাহলে ক্রেতা বাড়বে। এই কাজে অনেক বেশি সময় দেয়া লাগেনা। 

১১। মোবাইল রিচার্জ ও মোবাইল ব্যাংকিং 

মোবাইলের কার্ড বিক্রি বা রিচার্জের ব্যবস্থা করাকে অনেক শিক্ষার্থী থেকে চাকুরীজীবী পার্ট-টাইম ব্যবসা হিসেবে নিয়েছে। এই কাজে খুব বেশি বিনিয়োগের দরকার হয়না। অনেক পরিশ্রমও নেই। অন্যান্য কাজের সাথে এই কাজ করা যায়। মোবাইল কোম্পানিগুলোর এজেন্ট হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কার্ড কিনে বা টাকা লোড করে কাজটি শুরু করা যায়। 

মোবাইল ব্যাংকিং-ও একইসাথে করা যায়। বিকাশ, রকেট, নগদ ইত্যাদি কোম্পানির এজেন্ট হয়ে আপনি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদান করার মাধ্যমে ব্যবসা করতে পারবেন। 

১২। কবুতর পালন

আপনার বাসার ছাদে বা উঠোনে অথবা উপযুক্ত কোন জায়গা থেকে থাকলে কবুতর পালন করে ব্যবসা করতে পারবেন। এই ব্যবসাটি খুব পরিশ্রমের না, অনেক বিনিয়োগও করা লাগেনা। আপনার কবুতর গুলোর প্রতি সঠিক যত্ন আপনাকে এই খাতে সফলতার মুখ দেখাবে। 

See also  ভারতের টাটা কোম্পানির ইতিহাস

এই বিষয়ে আপনার আগ্রহ থাকলে এবং সঠিক জ্ঞান থাকলে চাকরির পাশাপাশি এই কাজটি করতে পারেন। কবুতরের চাহিদা বাজারে প্রচুর। আপনি নিজে পরিচর্যা করতে পারেন অথবা লোক নিয়োগ করে ব্যবসাটি পরিচালনা করতে পারেন। 

১৩। শেয়ার ব্যবসা 

আইপিও শেয়ার ক্রয় ও বিক্রয়ের মাধ্যমে একটু বাড়তি টাকা রোজগারের বিষয়টি মোটামুটি সবাই জানেন। অনেক চাকুরীজীবীই শেয়ার ব্যবসায় টাকা খাটান। 

এই বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান থাকলে ও কৌশলী হলে এর মাধ্যমে অনেক ভালো পরিমান আয় করা যায়। 

১৪। ডিজিটাল মার্কেটিং 

ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা প্রদানের মাধ্যমে অনেকেই আয় করে থাকেন। বর্তমানের ডিজিটাল দুনিয়ায় সব কিছুই অনলাইনের উপর নির্ভরশীল। অনেকেই এখন অনলাইনের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রোজগারের পথ খুঁজছে। 

এইসব প্ল্যাটফর্মে উঠে দাঁড়ানোর জন্য এসইও, বুস্টিং ইত্যাদির প্রয়োজন হয়। যেহেতু একজন মানুষের পক্ষে সব কাজ একা করা সম্ভব হয়না, তাই তাঁরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ অর্থের বিনিময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি বা একজন ডিজিটাল মার্কেটারের উপর দেন। 

আপনি চাইলে এই বিষয়ে কোর্স করে জ্ঞান অর্জন করতে পারেন। তারপর ঘরে বসেই অবসর সময়ে এই জাতীয় কাজ করে বাড়তি রুজি করতে পারবেন।  

১৫। গবাদি পশু পালন 

গবাদি পশু যেমন- গরু, ছাগল, মহিষ ইত্যাদির পেছনে বিনিয়োগ করে একটা সময় পর ভালো পরিমানের লভ্যাংশ তুলে আনা যায়। অনেকেই চাকরির পাশাপাশি এই খাতে বিনিয়োগ করেন। 

এইসব গবাদি পশুর মাংস, দুধ ইত্যাদির চাহিদা বাজারে প্রচুর। আপনি চাইলে একা বা কয়েকজন মিলে একটি খামার গড়ে তুলতে পারেন। কারও জায়গা ভাড়া নিয়ে অথবা নিজের জায়গা থাকলে সেখানেই কাজটি শুরু করতে পারেন। 

চাকরি করে এসব প্রাণীর যত্ন নেয়া সম্ভব না। তাই এই কাজের জন্য একজন বা দুইজন অভিজ্ঞ লোক নিয়োগ করতে হবে। সঠিক পরিকল্পনা মোতাবেক কিছুদিন বিনিয়োগ করার পর বছর ঘুরলেই এই ব্যবসা থেকে ভালো পরিমানের লাভ আসতে শুরু করবে। 

শেষ কথা 

সবসময় আয়-রোজগারের জন্য একমুখী নির্ভরতা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আপনার যদি একাধিক উপার্জনের রাস্তা তৈরি থাকে তাহলে সংসারে সচ্ছলতার পরিমান বাড়বে। অন্যদিকে যদি কখনও একদিকের রাস্তা দুর্ঘটনাক্রমে বন্ধ হয়ে যায় তবু অন্যদিকের আয়ের জন্য আপনাকে অসহায় অবস্থায় পড়তে হবে না। 

তাই আপনি যদি চাকুরীজীবী হন শুধু চাকরির রোজগারের উপর নির্ভরশীল না হয়ে আরও কিছু করার চেস্টা করুন। একটু পরিশ্রম, বিনিয়োগে ইচ্ছুক, ঝুঁকি গ্রহনের সাহস করতে পারলে আপনি চাকরি করেও ব্যবসা করতে পারবেন। 

চাকরির পাশাপাশি কি কি ব্যবসা করা যায় তা নিয়ে জানুন। তারপর ভাবুন আপনি কোন কাজটি করতে পারবেন। সেই কাজটি নিয়ে পরিকল্পনা করুন এবং উদ্যোগ নিন। আপনার সাহসিকতাই আপনাকে সাফল্য এনে দিবে। 

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *