৩২ টি বই পড়ার গুরুত্ব ও বই পড়া নিয়ে মনীষীদের উক্তি
বই মানুষের জীবনে অনেক ক্ষেত্রে বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী, শিক্ষক এমনকি অভিভাবকদের চেয়ে ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে । মানুষের ভিতরের অন্ধকার দূর করে কুসংস্কারমুক্ত, প্রগতিশীল,আলোকিত সমাজ, দেশ ও জাতি গঠনে বই হলো শ্রেষ্ঠ হাতিয়ার। পৃথিবীর ইতিহাস ঐতিহ্য ও আধুনিক বিশ্বকে উপলব্ধি করতে হলে বই পড়তে হবে । বইয়ের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ, জাতি , ভাষা গুষ্টির মানুষ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাওয়া যায় । বই মানুষের হৃদয়ের দ্বার খুলে দিয়ে চিন্তার জগৎকে প্রসারিত করে এবং মানুষের আত্মার প্রসার ঘটায়। প্রতিটি সফল মানুষ নিয়মিত বই পড়তেন।
ওয়ারেন বাফেট তার পেশা জীবনের শুরুতে প্রতিদিন 600 থেকে 1000 পৃষ্ঠা নিয়মিত পড়তেন বিলগ্রেটস প্রতিবছর 50 টি বই পড়েন। বই পড়লে মানুষের চিত্ত প্রফুল্ল হয়। যুগে যুগে বই পড়ার গুরুত্ব বোঝাতে বিভিন্ন জন বিভিন্ন ভাবে বই পড়া নিয়ে উক্তি করেছেন। বই পড়া নিয়ে বিখ্যাত ৩২ টি উক্তি আপনার বইপড়ার আগ্রহ বাড়িয়ে দিবে।

১.”বই পড়াকে যথার্থ হিসেবে যে সঙ্গী করে নিতে পারে,তার জীবনের দুঃখ কষ্টের বোঝা অনেক কমে যায়।“-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
২.”একজন মানুষ ভবিষ্যতে কী হবেন সেটি অন্য কিছু দিয়ে বোঝা না গেলেও তার পড়া বইয়ের ধরন দেখে তা অনেকাংশেই বোঝা যায়।“-অস্কার ওয়াইল্ড
৩.” বই হচ্ছে মস্তিষ্কের সন্তান।” -জনাথন সুইফট
৪.”একটি ভালো বই হলো বর্তমান ও চিরকালের জন্য সবচেয়ে উৎকৃষ্ট বন্ধু।” -টুপার
৫ ”অন্তত ষাট হাজার বই সঙ্গে না থাকলে জীবন অচল।” – নেপোলিয়ান
৬.”বই কিনে কেউ কোনদিন দেউলিয়া হয় না।“-সৈয়দ মুজতবা আলী
৭ “ভালো বই পড়া মানে গত শতাব্দীর সেরা মানুষদের সাথে কথা বলা”— দেকার্তে
৯.”বই পোড়ানোর চেয়েও গুরুতর অপরাধ অনেক আছে। সেগুলোর মধ্যে একটি হল বই না পড়া।“-জোসেফ ব্রডস্কি
১০.”একটি ভালো বইয়ের কখনোই শেষ বলতে কিছু থাকে না।“- আর ডি কামিং
১১.”ভালো খাদ্য বস্তু পেট ভরে কিন্ত ভাল বই মানুষের আত্মাকে পরিতৃপ্ত করে।“-স্পিনোজা
১২ “একটি ভালো বইয়ের কখনোই শেষ বলতে কিছু থাকে না”— আর ডি কামিং
১৩) ‘‘বই কেনাটা নিষ্পাপ বৃত্তি এবং এতে দুষ্কর্মের থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়”
১৪.”বই বিশ্বাসের অঙ্গ, বই মানব সমাজকে টিকাইয়া রাখিবার জন্য জ্ঞান দান করে। অতএব, বই হইতেছে সভ্যতার রক্ষাকবচ।“-ভিক্টর হুগো
১২.”বই হচ্ছে শ্রেষ্ঠ আত্মীয়, যার সঙ্গে কোনদিন ঝগড়া হয় না,কোনদিন মনোমালিন্য হয় না।“- প্রতিভা বসু
১৩.”বই খুলে যা দেখে নেয়া যায় তা কখনো মুখস্থ করতে যেয়ো না।“-আলবার্ট আইনস্টাইন
১৪ একটি বই পড়া মানে হলো একটি সবুজ বাগানকে পকেটে নিয়ে ঘোরা”— চীনা প্রবাদ
১৫.”একটি বই পড়ার দুটি উদ্দেশ্য থাকা উচিত একটি হল- বইটিকে উপভোগ করা অন্যটি হল- বইটি নিয়ে গর্ব করতে পারা।“- বার্ট্রান্ড রাসেল
১৬. “প্রচুর বই নিয়ে গরীব হয়ে চিলোকোঠায় বসবাস করব তবু এমন রাজা হতে চাই না যে বই পড়তে ভালবাসে না”— জন মেকলে
১৭. “আমি চাই যে বই পাঠরত অবস্থায় যেন আমার মৃত্যু হয়”— নর্মান মেলর
১৮.”সেদেশ কখনো নিজেকে সভ্য বলে প্রতীয়মান করতে পারবে না যতক্ষণ না তার বেশিরভাগ অর্থ চুইংগামের পরিবর্তে বই কেনার জন্য ব্যয় হবে।” -ভলতেয়ার
১৯) “বই হলো এমন এক মৌমাছি যা অন্যদের সুন্দর মন থেকে মধু সংগ্রহ করে পাঠকের জন্য নিয়ে আসে” জেমস রাসেল০
২০.”বই পড়াকে যথার্থ হিসেবে যে সঙ্গী করে নিতে পারে,তার জীবনের দুঃখ কষ্টের বোঝা অনেক কমে যায়।“-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
২১.”আমরা যখন বই সংগ্রহ করি, তখন আমরা আনন্দকেই সংগ্রহ করি।“- ভিনসেন্ট স্টারেট
২২ বই পড়ার অভ্যাস নেই আর পড়তে জানে না এমন লোকের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।– মার্ক টোয়েইন
২৩.”আমাদের আত্মার মাঝে যে জমাট বাধা সমুদ্র সেই সমুদ্রের বরফ ভাঙার কুঠার হলো বই।“- ফ্রান্ৎস কাফকা
২৪.”কতকগুলো বই সৃষ্টি হয় আমাদের শিক্ষা দেবার জন্য নয়, বরং তাদের উদ্দেশ্য হলো আমাদের এই কথা জানানো যে, বইগুলোর স্রষ্টারা কিছু জানতেন।“- গ্যেঁটে
২৫. সন্তানের জীবনে বইয়ের বিকল্প নেই। -ম্য এলেন চেজ
২৬ . গৃহের কোনো আসবাবপত্র বইয়ের মতো সুন্দর নয়।– সিডনি স্মিথ
২৭.’রুটি মদ ফুরিয়ে যাবে, প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে আসবে কিন্তু একখানা বই অনন্ত যৌবনা, যদি তেমন বই হয়।’– ওমর খৈয়াম।
২৮) “সেদেশ কখনো নিজেকে সভ্য বলে প্রতীয়মান করতে পারবে না যতক্ষণ না তার বেশিরভাগ অর্থ চুযা অন্যরা সবাই পড়ছে, তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন অন্য সবাই কি ভাবছে ।” — হারুকি মুরাকামি
২৯.”কতকগুলো বই সৃষ্টি হয় আমাদের শিক্ষা দেবার জন্য নয়, বরং তাদের উদ্দেশ্য হলো আমাদের এই কথা জানানো যে, বইগুলোর স্রষ্টারা কিছু জানতেন।“- গ্যেঁটে
৩০. পড়া শিখতে আগুন জ্বলানো হয়; বানান করা প্রতিটি অক্ষর হ’ল একটি স্পার্ক। -ভিক্টর হুগো
৩১. আপনি যখন পড়া শিখবেন তখন আপনার আবার জন্ম হবে … এবং আপনি আর কখনও একা থাকবেন না। — রুমার গডডেন
৩২. কেবল শিশুদের পড়তে শেখানোই যথেষ্ট নয়; আমাদের তাদের পড়ার উপযুক্ত কিছু দিতে হবে। এমন কিছু যা তাদের ধারণাগুলি প্রসারিত করবে এমন একটি জিনিস যা তাদের নিজের জীবনের অনুভূতি তৈরি করতে এবং তাদের জীবন থেকে তাদের থেকে পৃথক হওয়া মানুষের দিকে এগিয়ে যেতে উত্সাহিত করবে। -ক্যাথারিন প্যাটারসন
সবশেষে বলতে হয় বিশ্বের মহা মূল্যবান গ্রন্থ গুলো মানুষের জ্ঞান, বিজ্ঞান, শিল্প সাহিত্য ও সাধনার নির্বাক সাক্ষী। যুগ-যুগান্তরে মানুষ তার জ্ঞান ও অনুভূতি বইয়ের মধ্যে লিপিবদ্ধ করেছেন। তাই বই পড়ার মাধ্যমে মানুষ তার আপন সত্তার পরিচয় পায়। স্বশিক্ষা অর্জন বা নিজেকে নিজে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে বই পড়ার কোন বিকল্প নেই । বই পড়া মানুষকে শোকে – সান্তনা, দুঃখে -দুঃখ জয়ের ব্রত , ব্যর্থতায় – ধৈর্য ধরার শক্তি জোগায়। নির্মল আনন্দ পাওয়া থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই বই পড়া গুরুত্ব রয়েছে। বই পড়া নিয়ে উক্তি মানুষকে বই পড়ার গুরুত্ব সম্পর্কে সহজে সম্যক ধারণা দিতে পারে।

History and Civilization Discipline,
Khulna University