জেরুজালেম

জেরুজালেম শহরটি বিখ্যাত কেন?

পৃথিবীতে সুপ্রাচীন কাল থেকে শুরু করে আজঅবদী যে শহরটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক কোন্দল রয়েছে সেই শহরটি হচ্ছে জেরুজালেম। কয়েকটি বিশেষ কারনে জেরুজালেম বিখ্যাত। তার মধ্যে ধর্মীয় কারন সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করছে। এছাড়াও রয়েছে অর্থনৈতিক, সাংসকৃতিক ও ভৌগলিক কারন।

এটি বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীনতম শহর যেটি ইজরায়েলের রাজধানী এবং এটি ভূমধ্য ও মৃত সাগরের মাঝখানে অবস্থিত যোধাইয়ান পর্বতমালার মালভূমি। শহর হিসেবেও বেশ বড় শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম।

আজ আপনাদের সামনে খুব অল্প সময়ে জেরুজালেম নিয়ে এমন কিছু তথ্য শেয়ার করব যা পৃথিবীতে সার্ভাইভ করতে হলে আপনার অবশ্যই জানতে হবে।

বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পবিত্র শহরের একটি হল জেরুজালেম। ইসলাম ধর্ম, খ্রীষ্টান ধর্ম এবং ইহুদী ধর্মাবলম্বীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে এই শহরটি। যেমন, ইসলাম ধর্মের জন্য রয়েছে মসজিদে-আল আকসা, যেখান থেকে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) বোরাক এ চড়ে মেরাজে উদ্দ্যেশে যাত্রা করেন এবং সিদরাতুল মুনতাহায় আল্লাহ’র সাথে দেখা করেন।তাছাড়া এই শহরের ‘মসজিদে আকসার’ কথা পবিত্র কোরআন শরিফে ও উঠে এসেছে। ইসলাম ধর্মের অসংখ্য ইতিহাস এই নগরির প্রতিটা অলিতে গলিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।

খ্রীষ্ঠান ধর্মাবলম্বীদের জন্য ও এই স্থানটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। গির্জার জন্য খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের কাছেও পবিত্রতার দিক থেকে সমান গুরুত্ব বহন করে। এই পবিত্র নগরিকে ঘিরে যিশু খ্রিস্টের স্মৃতিবিজড়িত প্রচুর ঘটনা শোনা যায় এবং রয়েছে। খ্রিস্টানদের বিশ্বাস, এখানেই যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল। অনেকেই ইতিহাসবিদ এই শহরটিকে যীশুর আসন্ন দ্বিতীয় আগমনের কেন্দ্র হিসেবেও দেখেন। জেরুজালেম এখন বিশ্বজুড়ে খ্রিস্টানদের জন্য একটি প্রধান তীর্থস্থান। খ্রিষ্টানদের আদি পবিত্র প্রার্থনালয় ‘চার্চ অব দ্যা হলি সেপল্কার’ এখানেই অবস্থিত।

একইভাবে, ইহুদি জাতিদের জন্য ও এই শহরটি অসামান্য ধর্মীয় গুরুত্বের শহর। ইহুদিরা মনে করে তাদের ধর্মের আদি উৎপত্তি এখানেই। কারন, তাওরাত নামের পবিত্র গ্রন্থেও এই শহরের নাম উলে্লখ রয়েছে। এই জেরুজালেমে তাদের পবিত্র উপাশনালয় রয়েছে। নাম ‘টেম্পল মাউন্ট’ যেটি তাদের প্রথম উপাশনালয়।

See also  অসাধারণ স্থাপত্য চীনের মহাপ্রাচীর (গ্রেট ওয়াল)

যেহেতু জেরুজালেম ইজরায়েলের রাজধানী সেহেতু এর অর্থনৈতিকভাবে ও এটি অত্যন্ত সমৃদ্ধ এবং তাৎপর্যময় একটি শহর। কারন রাজধানী হবার জন্যে ব্যবসা বাণিজ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান ও খাদ্যের মানে উন্নয়নের হার স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধিপাবে।

তাছাড়া, ৩টি ধর্মের, চেতনা, আবেগ ও অনুভূতি একসাথে মিশে আছে বিধায় পর্যটনের জন্য ও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। জেরুজালেম বিশ্বের প্রাচীনতম বড় শহর বিধায় খ্রিষ্টপূর্বের ও ‍সহশ্র বছর পূর্বের নিদর্শন ‍আজো খুঁজে পাওয়া যায়। কারন ইতিহাসের অনেক বিবর্তন এই শহর দেখেছে। সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে জেরুজালেম অনেক ঐশ্বর্যশালী। ভূমধ্য সাগরীয় অঞ্চল হওয়ায় এ অঞ্চলের আবহাওয়া সবসময় মনোমে থাকে। পর্যটনের জন্য বছরের বেশিরভাগ সময়ই উপযোগী। তাই সারা বছরই পর্যটকদের অনাগোনা থাকে এখানে।

Similar Posts

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *