টেসলা কোম্পানি সম্পর্কে অজানা সত্য
আপনি কি জানেন পৃথিবীর সবচেয়ে পাগলাটে বিজ্ঞানি কে ছিলেন? চিন্তার কোন কারন নেই। যারা জানেন তাদের জানাই অভিনন্দন আর যারা এই মুহূর্তে মনে করতে পারছেন না তারা শুনলে অবাক হবেন কারন এই ব্যক্তির নাম নিকোলা টেসলা। উনি এসি ইলেক্ট্রিসিটি এর আবিষ্কারক। তার মানে হচ্ছে বিদ্যুৎকে বিভিন্ন রূপে ব্যবহারের কৈশল তিনি আবিষ্কার করেছেন। তিনি এ বিষয়ে এতটাই অগ্রগামী ছিলেন যে, যদি তিনি তাঁর সকল আবিষ্কার বিশ্ব-বাসির জন্য উন্মুক্ত করে দিতেন তবে পৃথিবী আজ এক ধ্বংস স্তুপে পরিণত হত।

এই নিকোলা টেসলার সূত্র ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় বর্তমান বিশ্বের নামকরা ব্র্যান্ড টেসলা ইনকর্পোরেশন। মার্ক টারপেনিং এবং মার্টিন এবেরহার্ড এর হাত ধরে ১ জুলাই ২০০৩ সালে টেসলা যাত্রা শুরু করে। এর সদর দফতর যুক্তরাষ্ট্র ক্যালিফোর্নিয়ার, পালো আল্টোতে।বর্তমানে টেসলার পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে বৈদ্যুতিক মোটর গাড়ি, বাড়ির গ্রিড স্কেল, সৌর প্যানেল এবং সৌর ছাদ টাইলস, সেইসাথে সাথে রয়েছে সংশ্লিষ্ট পণ্য এবং সেবা। টেসলার কথা বলছি কিন্তু ইলন মাস্কের নাম না বললে তা গুরতর অন্যায় হবে। অনেকেই মনে করেন ইলন মাস্ক টেসলার প্রতিষ্ঠাতা। প্রকৃতপক্ষে তিনি আসেন কোম্পানি প্রতিষ্ঠা হবার পর। ২০০৮ সালে তিনি এই কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা সি ই ও হিসেবে নিযুক্ত হন তারপর থেকে তিনি এই মোটর কোম্পানির জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি যখন এই কোম্পানিতে সি ই ও হিসেবে নিযুক্ত হন তখন কোম্পানিটি প্রায় ব্যাংকরাপ্ট হয়ে যাওয়ার মত অবস্থায় ছিল। কোম্পানিটির উন্নতির জন্য তিনি নিজে এই কোম্পানিতে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করেন এবং তখন ৩০ মিলিয়নের ও বেশি ইনভেস্ট করেন, তাছাড় তখন তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ইনভেস্টমেন্ট সংগ্রহ করে এই কোম্পানিটিকে দেউলিয়ার হওয়া থেকে বাঁচিয়ে তুলেন। আজ টেসলার সফলতার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান এ ব্যক্তিটির।
ইলন মাস্ক সি ই ও হিসেবে জয়েন করার পর টেসলা বাজারে নিয়ে আসে তাদের প্রথম ইলেকট্রিক কার। তার পর থেকে বিশ্ব ব্যাপি টেসলা প্রচুর সুখ্যাতি অর্জন করে এবং বেশ সমাদৃত হয়। একে একে বাজারে নিয়ে আসে মডেল এস, মডেল ৩, মডেল এক্স, মডেল ওয়াই, টেসলা রোডস্টার, টেসলা সেমি এবং সাইবারট্রাক। এই সকল মডেলের গাড়ি গুলো পরিবেশ বান্ধব ও তুলনামূলক স্বল্প মূল্য হবার কারনে বিশ্ব বাজারে প্রচুর চাহিদা সৃষ্টি করে। টেসলার সবচেয়ে বেশি রেটিং পাওয়া গাড়িটি হচ্ছে মডেল এস.। এই মডেলটি বর্তমানে ইলেকট্রিক কার ক্লাসের শীর্ষে অবস্থান করেছে কারন এর মধ্যে রয়েছে স্পেশাছ ইন্টেরিয়র, স্ট্রং এক্সিলারেশন, কম্পোজড হ্যান্ডেলিং এবং ট্রাফিক ড্রাইভিং রেন্জ। তাছাড়া প্রতি বছর গাড়ি বিক্রয় করে নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে এই জায়েন্ট কোম্পানিটি।
২০২১ সাল পর্যন্ত তারা ৫ লক্ষেরও বেশি ইলেক্ট্রিক গাড়ি সারা বিশ্ব ব্যাপি বিক্রয় করেছে। এবং তাদের এই ইলেক্ট্রিক গাড়ির চাহিদা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে । তবে সম্প্রতি চীনের গীলী কোম্পানি টেসলার সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ইলেক্ট্রিক গাড়ি নির্মান ও ডিজাইনরে দিক থেকে টেসলা বেশ ইউনিক। তাই টেসলাকে পাল্লা দিয়ে অতিক্রম করা মোটেও সহজ বিষয় নয়।

Bachelor of Business Administration,
East West University