ন্যানো টেকনোলজি কি এবং কিভাবে আমাদের উপকারে আসে?
আমরা যেই টেকনোলজিকাল যুগের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি সেই যুগের নাম কি আপনি বলতে পারেন? সেই যুগের নাম আনুবিক্ষণিক জাদুকরি ন্যানো টেকনোলজির যুগ। স্মার্টফোন, কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করছেন কিন্তু ন্যানোটেক এর নাম শুনেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এই ন্যানো শব্দটি আমাদের মাঝে এখন খুব প্রচলিত একটি শব্দ।
আজ এই ন্যানো-টেকনোলজি বিষয়ে এমন কিছু ধারনা দিতে চলেছি যা, ভবিষ্যৎ টেকনোলজি নিয়ে আপনার যে ধারনা রয়েছে তা সম্পূর্ন পাল্টে দেবে। সুতরাং একটু মনোযোগ দিয়ে এই ভিডিওটি শেষ পর্যন্ত দেখার অনুরোধ করছি।
বর্তমানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণায় ন্যানো প্রযুক্তির আজ এক অপার সম্ভাবনার নাম। ‘ন্যানো’ এই শব্দটি কিন্তু মূলত পরিমাপের একক। এটি অতিশয় ক্ষুদ্র একটি বিষয় যা আমরা খালি চোখে দেখতে পাইনা।
এই ন্যানো বিষটি, যে কোন বিষয়কে এক অভিনব ভাবে প্রয়োগের সক্ষম করে তুলে। একে পরিমাপ করা জন্য বলা যেতে পারে যে, ১ মিটারকে আমরা যদি ১০০ কোটি ভাগে ভাগ করি তবে ঐ ১০০ কোটি ভাগের ১ ভাগ হলো ১ ন্যানো মিটার। সুতরাং বুজতেই পারছেন একে খালি চোখে দেখা অসম্ভব।
আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন যে, এই ন্যানো টেকনোলজি যেমন আপনাকে সুবিধা দেবে ঠিক তেমনি অসুবিধাতেও ফেলবে। ১৯৫৯ সালে রিচার্ড ফাইনম্যান নামক নোবেল বিজয়ী মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী প্রথম এই ন্যানো টেকনোলজি নিয়ে আলোচনা করেন। তার সেই আলোচনার পথ ধরেই আজ বিজ্ঞান এক নতুন যুগের সূচনা করেছে। এই ন্যানো টেকনোলজির মাধ্যমে ইতোমধ্যেই আমরা অনেক পরিবর্তন দেখছি এবং প্রচুর সুবিধা ভোগ করছি।
ন্যানো টেকনোলজির যন্ত্রপাতি হবে ওজনে হালকা এবং অসম্ভব শক্তিশালী। তবে এই ন্যানো টেকনোলজির ব্যবহার এখনো পুরোপুরি প্রয়োগ হয়নি।
গবেষনায় দেখা গেছে যে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুব সহজেই খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা বাণিজ্য, শিল্প কলকারখানায় সৃজনশীল ও কৌশলগত পরিবর্তনের মাধ্যমে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা সম্ভব।
তারই সাথে অপচয় রোধ হবে এবং অপচয় রোধ হলে বাড়তি খরচ কমে যাবে। একই সাথে কম খরচে অধিক উৎপাদনের সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পাবে।
আর ন্যানো টেকনোলজির ব্যবহার মাধ্যমে কম খরচে উৎপাদন হলেও জিনিস পত্রের গুনগত মান বৃদ্ধি পাবে এবং দ্রব্যমূল্য কমে যাবে।এই হলো ন্যানো টেকনোলজির প্রধান সুবিধা।
অপরদিকে, এই জাদুময়ী প্রযুক্তির কিছু অন্ধকার দিক রয়েছে। সে সম্পর্কে আপনার অবশ্যই জানা প্রয়োজন। আনুবিক্ষনিক টেকনোলজি বিধায় আপনার গোপনীয়তা মারাত্মক ভাবে ব্যহত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকবে। শুধু তাই না ন্যানো টেকনোলজির জন্য মাইক্রোচিপ আরো ছোট হওয়ায় আপনাকে ট্র্যাক করা আরো সহজতর হতে চলেছে। আর এই ন্যানো-টেকনোলজির ন্যানো-পারটিকেল শরীরে জন্য ও ক্ষতিকর।
এবার, ন্যানো-টেকনোলজি নিয়ে সারা বিশ্বের মাতামাতির একটা পরিসংখ্যান দেখাব। গত ২০ বছরে মানে ২০০১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত চায়না এই ন্যানো টেকনোলোজি নিয়ে সবচেয়ে বেশি রিসার্চ করেছে।
কেন করেছে? তার কারনটা আপনারা খুব ভালো ভাবেই বুজতে পারছেন। আমাদের দেশের নাম এই তালিকায় দেখতে পেলে অবশ্য অত্যন্ত আনন্দিত হতাম। তবে আমাদের প্রত্যাশা, খুব শিগ্রহী এই তালিকায় আমরা আমাদের দেশকে সফলভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হব।

Bachelor of Business Administration,
East West University