ছাতা সেজে মাছ শিকারি পাখি ব্ল্যাক এগ্রেটস
ছাতা দিয়ে ধোকা মাছ কে বানানো বোকা, শিকারকে বাগে আনবার জন্য কতইনা বৈচিত্রময় ফাদ পাতার কৌশল শিকারি করে থাকে। আজকে আমরা আপনাদের দেখাতে চলেছি এমন একটি বিস্ময় কর প্রাণী যার চতুরতা দেখলে আপনার চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। ব্ল্যাক এগ্রেটস! আফ্রিকান সারস পাখি। প্রানীকুল এর মধ্য সবচেয়ে চতুরতা সম্পন্ন প্রানী হচ্ছে এই ব্ল্যক এগ্রেটস।
কালো রঙের এই সারস পাখিটি মাছ শিকারর জন্য বেছে নিয়েছে এক অভিনব কৌশল। ব্ল্যক এগ্রেটস এর ‘ক্যানোপি ফিডিং’ নামক এই শিকারি কৌশল, প্রাণীজগতের সবচেয়ে গোপন, চতুর এবং ধাঁধাঁ বাধানোর কৌশলগুলোর অন্যতম।
লম্বা লম্বা পা ফেলে ধীরে ধীরে হেঁটে যায় অগভির জলের উপর দিয়ে। তীক্ষ্ণদৃষ্টি দিয়ে ছোট শিকারের অবস্থান নির্ণয় করে তারা ফাঁদ পাতা শুরু করে। কালো সারস পাখি যখন পানি উপর ধিরে ধিরে হেটে যায় তখন তারা মাছ এর গতিবিধি বোঝার চেষ্টা করে।
যখন তারা বুঝতে পারে তখনি শুরু হয় তাদের ফাঁদ। তারা তাদের ডানাকে ছাতার মতো মেলে ধরে এবং এর ফলে ছোট মাছ অন্ধকারে আশ্রয় নিতে এলে শিকারে পরিণত হয়।
কেন মাছ সেই ডানার ছাতার নিচে আশ্রয় নেয়?
খুব সাধারন কারণটি হল ছোট মাছেরা বড় শিকারিদের কাছ থেকে লুকিয়ে থাকতে চায়। উন্মুক্ত পানিতে তারা যখন বড় রকমের ছায়াঘেরা আশ্রয় খুজে পায়, নিরাপত্তার ধোঁকা দিয়ে মাছগুলোকে ডানার নিচে চলে আসতে প্রলুব্ধ করে, তখন তাদের পরতে হয় তাদের শিকারের মরন থাবার কবলে।
ছাতার মত ডানার এই ছায়ার কারণে ব্ল্যক এগ্রেটস ভালো করে মাছ লক্ষ্য করতে পারে এবং নিজেদের লম্বা ঠোট এর সাহায্যে পানি থেকে শিকার তুলে নেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সানি কলেজ অব এনভার্নমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ফরেস্ট্রির ইমেরিটাস এর অধ্যাপক বিল শিল্ডস বলেন,মাটির নিচের ছোট আকারের শিকারের দিকেই বেশি নজর এই পাখির। তাই এটা তাদের শিকারি কৌশলের একটি অংশ।
তবে মজার ব্যাপার হলো, ব্ল্যক এগ্রেটস পাখির পায়ের রঙ হলুদ যার জন্যে খুব সহজেই শিকারকে তাদের লক্ষ্য ভ্রম করতে সক্ষম।