সফলতা কিংবা লক্ষ্য অর্জনের উপায়

সফলতা অর্জনের উপায়ঃ ১০টি কৌশল আপনার জীবন বদলে দিতে পারে 

সফল একজন মানুষ হওয়ার স্বপ্ন দেখেনা এমন মানুষ খুব কমই আছে। একজন সুস্থ মস্তিষ্কের ও মৌলিক চাহিদা ন্যূনতম পরিমান মেটাতে সক্ষম মানুষের এরকম স্বপ্ন থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে সবাই পারেনা। 

একেকজনের চোখে সফলতার সংজ্ঞা একেরকম। কেউ দুবেলা দুমুঠো খাবারের নিশ্চিন্ত যোগানকে সফলতা ভাবতে পারে আবার কেউ চাঁদে যাওয়াকে সফলতা ভাবতে পারে। কথা হল যে নিজেকে যে অবস্থানে দেখে মানসিক তৃপ্তি পায় তাই-ই সফলতা। 

আমরা যখন সফল হওয়ার স্বপ্ন দেখি, তখন তা অর্জনের জন্য পরিশ্রমের পরিকল্পনাও ঠিকঠাক মত করতে হবে। পরিশ্রম ছাড়া সফলতা অধরাই থেকে যাবে। তাই সফলতা কিংবা লক্ষ্য অর্জনের উপায় জানার পাশাপাশি তা নিজের জীবনে প্রয়োগও করতে হবে। 

কিভাবে লক্ষ্য নির্ধারণ করব? 

প্রতিটি কাজেরই একটি লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য থাকে। যেমন একজন কৃষক মাঠে যত কাজ করে তার উদ্দেশ্য হল ফসল ফলিয়ে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন ও তার চাহিদা মেটানো। একজন পরীক্ষার্থীর উদ্দেশ্য ভাল রেজাল্ট করা। 

আমরা অনেকেই আছি জীবনে কি চাই তাই-ই জানিনা। কেউ গতানুগতিক জীবন চালিয়ে যাচ্ছি কিন্তু নিজের অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্তুষ্ট নই। আবার কেউ আছি অন্যের পছন্দমত কাজ করছি যা আমাকে তিলে তিলে হতাশায় ডুবিয়ে দিচ্ছে। তো বিষয়টা হল আমি আমার জীবনের লক্ষ্য জানি কি না এবং সে অনুযায়ী কাজ করছি কি না। 

সুতরাং আপনাকে সফল হতে হলে আগে লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করতে হবে।  স্বপ্ন দেখা ও লক্ষ্য নির্ধারণের মধ্যে পার্থক্য আছে। আপনি যদি বলেন আমি পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখি তাহলে তার জন্য কি কি করা লাগবে সে অনুযায়ী লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করবেন। আপনি আপনার জীবনে বৈধভাবে যা করতে ভালবাসেন তার জন্য কাজ করে যান, সফলতা আসবেই।

পৃথিবীতে এমন মানুষও আছেন যাদের কাছে জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারাই একধরনের সফলতা। অনেকে হয়তো জানেনই না তাদের কি করতে হবে জীবনে। অথচ লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারলেই কাজে নেমে পড়া সহজ হয়ে যায়। 

সফলতা কিংবা লক্ষ্য অর্জনের উপায় নিয়ে বলার আগে লক্ষ্য নির্ধারণ করার কিছু কৌশল নিয়ে এখানে বলব। যদি আপনার লক্ষ্য স্থির না থাকে তাহলে কৌশলগুলো জেনে নিন। 

১। নিজেকে জানুনঃ 

আপনি কি নিজেকে কখনও জিজ্ঞেস করেছেন কোন পর্যায়ে আপনাকে দেখতে চান? না করে থাকলে একটু ভাবতে বসুন। 

আপনার হয়তো বিল্ডিং এর নকশা করতে ভাল লাগে, নিজেকে একজন স্থপতি হিসিবে প্রতিষ্ঠিত করার ভীষণ ইচ্ছা। কিন্তু আপনার পড়াশোনা অন্য বিষয়ে। 

বা আপনার অনেক কিছুই ভাল লাগে, অনেক ধরনের পেশা নিয়েই স্বপ্ন দেখেন নিজেকে ঐ পর্যায়ে নিয়ে যাবেন। অথচ একজন মানুষের পক্ষে একজীবনে একইসাথে ভিন্ন ভিন্ন খাতে সফল হওয়া সম্ভব না। 

অনেকে বহুমুখি প্রতিভার অধিকারি হন। তবে খেয়াল করে দেখবেন তারা যেকোনো একটি বিষয়ে সফলতার চূড়ান্তে এবং অন্যান্য কাজ পার্শ্ব-প্রতিভা হিসিবে রয়েছে। যেমন একজন শিশু-বিশেষজ্ঞ ভাল আর্টিস্ট হতে পারেন, ভাল ফুটবল খেলতে পারেন। কিন্তু তিনি পিডিয়াট্রিশান হিসেবে আগে সফল এবং অন্যান্য বিষয়ে তিনি গুণী।  

See also  কিভাবে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন এবং সেট আপ করবেন?

সুতরাং আপনাকে আগে জানতে হবে সত্যিকার অর্থে কোন কাজটিকে প্রাধান্য দিবেন। ঠিক কোন বিষয়ে আপনি আত্মবিশ্বাস রাখেন যে সেই বিষয়ে পরিশ্রম করলে আপনি সফল হবেন। 

২। কাগজে লিখুনঃ 

আপনার পছন্দের কাজগুলোকে ধারাবাহিকভাবে কাগজে লিখুন। এটা পরীক্ষিত সত্য যে, কাগজে যখন কেউ তার স্বপ্নের কথা লিখে তখন এটা নিয়ে লক্ষ্য ঠিক করা সহজ হয়ে যায়। 

এবার আপনি ৫ বছর বা ১০ বছর বা যেকোনো নির্দিষ্ট সময় পর নিজেকে কোন অবস্থায় দেখতে চান তা লিখুন। সময় ভাগ করে নিন। কোন কাজটি আগে করবেন, কখন করবেন, কিভাবে করবেন তার ছক তৈরি করুন। 

দেখবেন আপনার কর্মপরিকল্পনা যখন আপনার চোখের সামনে থাকবে তখন আপনার ব্রেইন বারবার স্টিমুলেট বা উদ্দীপনা দিতে থাকবে। ফলে আপনি আপনা থেকেই তাড়না অনুভব করবেন। 

৩। অসম্ভব কল্পনা থেকে বের হয়ে বাস্তবমুখি চিন্তা করুন 

বাস্তব ও সিনেমা এক নয়। সিনেমায় অনেক অসম্ভব সম্ভব হয়ে গেলেও বাস্তব বাস্তবই। আপনাকে কিছু পেতে হলে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং তা বাস্তবতাকে মেনে নিয়েই করতে হবে। 

যেমন আপনি চাইলেই ৪ বছরের অনার্স কোর্স ১ বছরে শেষ করতে পারবেন না। বা আপনি চাইলেই একদিনে পুরো পৃথিবী ঘুরে আসতে পারবেন না। সুতরাং আপনার কর্মপরিকল্পনা হতে হবে বাস্তবসম্মত। 

৪। বড় লক্ষ্য অর্জনের জন্য আগে ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করুনঃ 

আপনি যদি নিজেকে ভবিষ্যতে যেকোনো একটি খাতে একজন বড় ব্যবসায়ী হিসেবে দেখতে চান তাহলে আপনার কি কি কাজ করতে হবে তার লিস্ট করুন। প্রতিটি কাজের সময়সুচি নির্ধারণ করুন। 

যেমন আপনাকে স্বল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে হবে প্রথমে। তো ঠিক করুন কত টাকা বিনিয়োগ করবেন। প্রথম পুঁজিতে কত টাকার মুনাফা অর্জন করবেন। তার পরের ধাপগুলো কি হবে। মাসিক ও বাৎসরিক কর্মপরিকল্পনা কি হবে। এভাবে আপনার কাজগুলোকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করুন। 

সফলতা অর্জনের কৌশলঃ 

আমাদের লক্ষ্য যখন স্থির হবে, কর্মপরিকল্পনাও তৈরি, তখন কাজ শুরু করার অপেক্ষা শুধু। উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আপনার প্রতিটি পদক্ষেপ ফেলুন। 

এখন কথা হল আপনি কাজ করা শুরু করলেই সফল হয়ে যাবেন? না, আমরা তা বলছিনা। কাজ শুরু করার পর অনেক বাধা আসতে পারে, বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন, আপনার পরিকল্পনার সাথে বাস্তবতার মিল হুবহু মিলে নাও যেতে পারে। তবে কি হাল ছেড়ে দেবেন? কখনই নয়। 

তাহলে কি করতে হবে? অবশ্যই লেগে থাকবেন। নিচের কৌশলগুলো পড়ুন। যত বাধাই আসুক, এই কৌশলগুলো আয়ত্ত করতে চেষ্টা করুন, আপনি সফল হবেন। 

১। প্ল্যান এ এর সাথে অবশ্যই প্ল্যান বি রাখবেনঃ 

“If plan A isn’t working, I have plan B, plan C, and even plan D” – Serena Williams.

আপনি যা হতে চান বা যেভাবে নিজের সাফল্য কামনা করছেন তার জন্য পরিকল্পনা করলেন। কিন্তু জীবনে হয়তো কোন  অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যেতে পারে বা কোন প্রতিকুল পরিস্থিতি তৈরি হতেই পারে। 

তাই সব সময় চেষ্টা করবেন পরিকল্পনা একটি নয়, একাধিক এঙ্গেল থেকে করতে। আপনার জন্য যেটা সহজ সেটাই অনুসরণ করুন তবে তার অকার্যকারিতায় হতাশ না হয়ে অন্য উপায়ে ভাবুন। 

See also  গুরুত্বপূর্ণ জমির দলিল হারিয়ে গেলে তুলে নিন সহজেই

২। আত্মবিশ্বাস বাড়ানঃ 

আপনি আপনার কাজে সফল হবেন এই বিশ্বাস রাখুন। লেখক নেপোলিয়ন হিল বলেন– “মানুষের মন যা ভাবতে পারে ও বিশ্বাস করতে পারে, তা-ই সে অর্জন করতে পারে।“ 

সাফল্য অর্জনের পথে বাধা আসবেই। নানাজনে নানা কথা বলবেই। আপনি যদি তাতেই হাল ছেড়ে ধরে নেন এটা আপনাকে দিয়ে হবে না তাহলে আসলেই হবে না। বরং আপনার নিজের ইচ্ছাশক্তিই আপনাকে সাফল্য এনে দিবে। তাই সব সময় ভাবুন আপনি পারবেনই। 

৩। কারো উপর নির্ভরশীল হবেন নাঃ 

আমরা অনেক সময় অনেক কাজে অন্যের উপর নির্ভর করি। ভাবি সে আমার এই কাজটি করে দিবে বা আমাকে উৎসাহ দিবে। এই নির্ভরশীলতা কখনও কখনও সময় নষ্টের জন্য দায়ী। 

আপনি একজন বা একাধিকের উপর নির্ভর হয়ে থাকলে সে সেই কাজটি যদি না করে তাতে আপনার মন খারাপ হবে, সময় নষ্ট হবে। তাই ১০০% কাজ নিজের দায়িত্বে রাখুন। 

কিছু কিছু ক্ষেত্রে সব কাজ আপনার পক্ষে একা করা সম্ভব না। তবে মানুষের মাঝে কাজের দায়িত্ব দিয়েই রিলাক্স হবেন না। কারন কাজটি আপনার জন্য যতটা জরুরি তার কাছে সেই মূল্যায়ন নাও থাকতে পারে। তাই সবসময় তদারকি করবেন, খোঁজ নিবেন। 

৪। জ্ঞান অর্জন করুনঃ 

সফল হতে গেলে জ্ঞান অর্জনের বিকল্প নেই। আপনি দেখবেন পৃথিবীর যত সফল মানুষ আছেন তারা প্রচুর পড়াশুনা করেন, জ্ঞান অর্জন করেন। আপনি যত শিখবেন, যত জানবেন ততই আপনার সমস্যার সহজ সমাধান বের করতে দক্ষ হবেন। 

শুধু পুঁথিগত জ্ঞান অর্জনেই থেমে থাকবেন না। জীবনে শিখতে হলে পুঁথিগত বিদ্যার সাথে প্রায়োগিক জ্ঞানও অর্জন করুন। আর কখনই কাউকে ছোট করে দেখবেন না। কারন মনে রাখবেন প্রতিটি মানুষই তার কাজের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ। 

একজন কামারের লোহা-লক্কড়ের জ্ঞান একজন ডাক্তারের থাকবেনা। তাই সবার থেকে শিখবেন, সেই সাথে অর্জিত জ্ঞান অন্যকে শেয়ার করতেও কার্পণ্য করবেন না। 

৫। ইতিবাচক ধারনা পোষণ করুন সব ক্ষেত্রেঃ 

সব সময় ইতিবাচকভাবে ভাবুন, সরল চিন্তা করুন। ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহন করুন। কখনই হতাশাকে প্রশ্রয় দিবেন না। আপনাকে দিয়ে হবেনা, এরকম ধারনা মনের মধ্যে জায়গা দিবেন না। যে কোন পরিস্থিতিতে ইতিবাচক ভাবনা সমস্যার সমাধানে সাহায্য করে। ইতিবাচকতা আপনার মনকে ভাল রাখবে, দুঃসময়ে সহজভাবে চিন্তা করার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। 

৬। গুছিয়ে কাজ করুনঃ

এলোমেলো কাজ কখনই মনকে প্রশান্তি দেয়না। আপনার প্রতিটি কাজ, কাজের ক্ষেত্র যেন গুছানো হয় সেদিকে নজর রাখুন। 

সব কিছু গুছিয়ে রাখার ফলে আপনি জানবেন কোন কাজটির পর কোন কাজটি করবেন। কোন কিছু হারিয়ে যাবার সম্ভাবনাও কমবে। কোন কাজে কি রকম বাধা আসতে পারে তারও একটা অনুমান করতে পারবেন। 

৭। সময়ের গুরুত্ব দিনঃ 

আজকের কাজ আজকেই করব, কাল নয়। কালকের জন্য কাজ ফেলে রাখে শুধু অলসরা-ই। আর সাফল্য অলসদের জন্য নয়। 

কখন কোন কাজ করবেন, কোন সময়ের মধ্যে করবেন তার একটা গাইডলাইন তৈরি করুন। সেই অনুযায়ী কাজ এগিয়ে নিন। দেখবেন মনে প্রশান্তি পাচ্ছেন। প্রয়োজনে সঠিক সময়ে কাজ সম্পাদনের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখুন। সেটা হতে পারে আপনার নিজেকে নিজে পুরস্কৃত করলেন বা আপনার কাজের সহযোগীদের। 

See also  ভারতবর্ষে ব্রিটিশ শাসনের ইতিহাস এবং এর অদৃশ্যমান প্রভাব।

৮। শারিরিক ও মানসিক শান্তি নিশ্চিত করুনঃ 

যেকোনো কাজে অগ্রসর হওয়ার জন্য শারিরিক ও মানসিক শান্তি খুবই দরকার। তাই শুধু কাজে বুঁদ হয়ে না থেকে নিয়ম করে চলার জন্য রুটিন করুন। কাজের সময় কাজ আবার বিশ্রামের সময় বিশ্রাম। 

নিয়মিত শরীরচর্চা করবেন, মেডিটেশন করবেন, নিয়মমাফিক খাবার খাবেন, পরিবারে সময় দিবেন। মনে রাখবেন সময় কখনই থেমে থাকবে না। আপনি হয়তো সফলতার পেছনে ছুটতে ছুটতে লক্ষে একসময় পৌঁছে যাবেন। কিন্তু হারিয়ে ফেলা যৌবন, পরিবার-আত্মীয়-বন্ধুবান্ধবদের সাথে সময় কাটানোর সুযোগ হারিয়ে ফেলবেন। 

তাই সময়ের সঠিক ব্যবহার যেমন কাজের ক্ষেত্রে করতে হবে তেমনি অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রেও করতে হবে। আর এসব কাজ আপনার সময় নস্ট করবেনা বরং আপনার মানসিক শান্তি নিশ্চিত করবে। এতে আপনার কাজে মনযোগী হতে সাহায্য করবে। 

৯। বহুমাত্রিক কাজের পরিকল্পনা রাখুনঃ 

কখনই একটি কাজে নিজেকে আটকে রাখবেন না। পৃথিবীর বড় বড় সফল ব্যক্তিদের জীবনী খেয়াল করুন, তারা একটি বিষয় নিয়েই লেগে থাকেননি। তাদের বহুমুখী কাজ ও প্রতিভা রয়েছে। 

দীর্ঘমেয়াদী সাফল্য নিশ্চিত করতে আপনার আয়ের একাধিক রাস্তা খুলার দিকে নজর দিন। একটিতে সফল হওয়া শুরু হলে অন্যটিতেও বিনিয়োগ করুন। ঝুঁকি নিন। সফল হতে হলে ঝুঁকি নিতেও জানতে হয়। 

১০। সময়ের সাথে চলুনঃ 

বর্তমান যুগ হল ডিজিটাল সময়। এখন আপনি যদি কম্পিউটার, ইন্টারনেট, স্মার্টফোন সম্পর্কে অজ্ঞ হন তাহলে আপনি আপনার প্রতিযোগীদের চেয়ে পিছিয়েই থাকবেন। 

যুগের সাথে তাল মেলাতে শিখুন। সমসাময়িক জ্ঞান রাখুন। এতে আপনার কাজ সহজ হবে। সাফল্য অর্জনের পথ পরিস্কার হবে। 

পরিশিষ্টঃ 

আমরা সবাই সফলতার সুখ পেতে চাই কিন্তু পরিশ্রমে অনেকেরই অলসতা কাজ করে। অথচ যারা জীবনে সফল হন তারা অনেক চড়াই- উৎরাই পেরিয়ে সেই অবস্থানে যান। তাই আপনার সফলতার মূল চাবি রয়েছে আপনার পরিশ্রমের মধ্যে। 

আপনি যদি আপনার লক্ষ্য স্থির করে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহন করেন এবং সেই অনুযায়ী শ্রম দিতে থাকেন, পুঁজি খাটান, একসময় সাফল্য আপনার হাতে ধরা দিবে। তাই অলসতা, হতাশা ইত্যাদি নেতিবাচক বিষয় থেকে নিজেকে দূরে রেখে এগিয়ে যাবার প্রত্যয়ে কাজ শুরু করে দিন। 

Tony Hsieh এর একটি বাণী খুবই কার্যকর- “Stop chasing the money and start chasing the passion.” আপনি টাকার পিছনে না ছুটে আপনার পছন্দের কাজটির পেছনে শ্রম দিন। জ্ঞান অর্জন করুন এবং সেই বিষয়ে নিজেকে পারদর্শী করে তুলুন। একসময় টাকাও আপনার হাতের নাগালে এসে পড়বে। 

এছাড়া সবসময় সৎ থাকবেন, বিনয়ী হবেন, নিষ্ঠার সাথে কাজ করবেন। সফলতা কিংবা লক্ষ্য অর্জনের উপায় জানার পর তা শুধু জানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না রেখে বাস্তবায়ন করুন। আপনি নিশ্চয়ই সফলতার মুখ দেখবেন। 

Similar Posts

2 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *