৩০ টি বিখ্যাত হুমায়ূন আহমেদ এর উক্তি
হুমায়ূন আহমেদ শুধু একটি নামই নয়, বলা যায় বাংলা সাহিত্যের একটি অধ্যায়। কিংবদন্তি হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ছিলেন বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী। উপন্যাসিক, গল্পকার,নাট্যকার ,গীতিকার, চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ুন আহমেদের উক্তি তরুণ প্রজন্মের কাছে খুবই জনপ্রিয়। তার প্রতিটি লেখাই যেন সাধারণ মানুষের মনের ভেতরের কথাগুলোর প্রকাশ, যা তাকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছে।

হুমায়ূন আহমেদের বিখ্যাত ৩০ উক্তি
১। মা হল পৃথিবীর একমাত্র ব্যাংক, যেখানে আমরা আমাদের সব দুঃখ, কষ্ট জমা রাখি এবং বিনিময়ে নেই বিনাসূদে অকৃত্রিম ভালোবাসা। —হুমায়ূন আহমেদ
২। মেয়েরা ভয়ঙ্কর দুর্যোগেও সাজ ঠিক রাখতে ভোলে না।—হুমায়ূন আহমেদ
৩। মেয়ে জাতটাই হচ্ছে মায়াবতীর জাত ।” —হুমায়ূন আহমেদ
৪। আবেগ লুকাতে হয় । অতি আবেগ মানুষকে সামনে এগুতে দেয় না । —হুমায়ূন আহমেদ
৫। আমরা যে জিনিস বুঝতে পারিনা তাকেই ভয় পাই। —হুমায়ূন আহমেদ
৬। অধিকাংশ মানুষ কল্পনায় সুন্দর, অথবা সুন্দর দুর থেকে। কাছে এলেই আকর্ষণ কমে যায়। মানুষই একই। কারো সম্পর্কে যত কম জানা যায়, সে তত ভাল মানুষ। —হুমায়ূনআহমেদ
৭। পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ সম্ভবত কষ্ট পাবার জন্যই জন্মায়। টাকা পয়সার কষ্ট নয়- মানসিক কষ্ট। __হুমায়ূন আহমেদ
৮। কিছু কিছু মানুষ ভাগ্যকে নিজের হাতে গড়ে, আবার কারো কারো কাছে ভাগ্য আপনি এসে ধরা দেয়। __হুমায়ূন আহমেদ
৯। সরাসরি চোখের দিকে তাকিয়ে কেউ মিথ্যা বলতে পারে না। মিথ্যা বলতে হয় অন্যদিকে তাকিয়ে । _হুমায়ূন আহমেদ
১০। মানুষ ছোট খাট ভুল করতে থাকে। ছোটখাটো ভুল করা যখন অভ্যাস হয়ে যায় তখন করে বড় ভুল। __হুমায়ূন আহমেদ
১১। কিছু কিছু পুরুষ আছে যারা রূপবতী তরুণীদের অগ্রাহ্য করে একধরনের আনন্দ পায়। সচরাচর এরা নিঃসঙ্গ ধরনের পুরুষ হয়, এবং নারী সঙ্গের জন্যে তীব্র বাসনা বুকে পুষে রাখে।-হুমায়ূন আহমেদ
১২। তুমি একটা খারাপ কাজ করেছো তার মানে তুমি একজন মানুষ, তুমি সেই খারাপ কাজটার জন্য অনুতপ্ত তার মানে তুমি একজন ভাল মানুষ। __হুমায়ূন আহমেদ
১৩। সব মানুষের জীবনেই অপূর্ণতা থাকবে। অতি পরিপূর্ণ যে মানুষ তাকে জিজ্ঞেস করলে সে ও অতি দুঃখের সঙ্গে তার অপূর্ণতার কথা বলবে। অপূর্ণতা থাকে না শুধু বড় বড় সাধক ও মহা পুরুষদের | __হুমায়ূন আহমেদ
১৪। বড় বড় ব্যাপারগুলি সহজেই ঝেড়ে ফেলা যায় কিন্তু তুচ্ছ ব্যাপারগুলি চোরকাঁটার মত কিছুতেই তাড়ানো যায় না ।__হুমায়ূন আহমেদ
১৫। কখনো কখনো তোমার মুখটা বন্ধ রাখতে হবে। গর্বিত মাথাটা নত করতে হবে এবং স্বীকার করে নিতে হবে যে তুমি ভুল। এর অর্থ তুমি পরাজিত নাও, এর অর্থ তুমি পরিণত এবং শেষ বেলায় জয়ের হাসিটা হাসার ন্য ত্যাগ স্বীকারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।__হুমায়ূন আহমেদ
১৬। কাজল ছাড়া মেয়ে দুধ ছাড়া চায়ের মত। __হুমায়ূন আহমেদ
১৭। ভদ্র ছেলেদের জন্য মেয়েদের মনে কখনও প্রেম জাগে না। যা জাগে সেটা হল সহানুভূতি|__হুমায়ূন আহমেদ
১৮। লাজুক ধরনের মানুষ বেশীর ভাগ সময়ই মনের কথা বলতে পারেনা। মনের কথা হড়বড় করে বলতে পারে শুধু মাত্র পাগলরাই। পাগলরা মনে হয় সেই কারণেই সুখী।__হুমায়ূন আহমেদ
১৯। যে সব মানুষের নাক সেনসেটিভ হয় তাদের কান কম সেনসেটিভ হয়। প্রকৃতি একটা বেশী দিলে অন্যটা কমিয়ে দেয়। __হুমায়ূন আহমেদ
২০। মানুষের মন বিচিত্র জিনিস। সমস্ত নক্ষত্র পূঞ্জে যে জটিলতা ও রহস্য তার থেকেও রহস্যময় মানুষের মন। __হুমায়ূন আহমেদ
২১। মানুষ ট্রেইনের মত এক লাইনে চলে। তবে বিশেষ ঘটনার পর নতুন লাইন পাওয়া যায়। _হুমায়ূন আহমেদ
২২। চাঁদের বিশালতা মানুষের মাঝেও আছে, চাঁদ এক জীবনে বারবার ফিরে আসে, ঠিক তেমন মানুষ প্রিয় বা অপ্রিয় যেই হোক, একবার চলে গেলে আবার ফিরে আসে। __হুমায়ূন আহমেদ
২৩। প্রতিটি দুঃসংবাদের সঙ্গে একটি করে সুসংবাদ থাকে। __হুমায়ূন আহমেদ
২৪। বাবা-মা’র প্রথম সন্তান হচ্ছে চমৎকার একটি জীবন্ত খেলনা। এই খেলনার সবই ভালো। খেলনা যখন হাসে, বা-মা হাসে। খেলনা যখন কাঁদে বাবা-মা’র মুখ অন্ধকার হয়ে যায়। _ _ হুমায়ূন আহমেদ
২৫। চট করে কারো প্রেমে পড়ে যাওয়া কাজের কথা না। অতি রূপবতীদের কারও প্রেমে পড়তে নেই। অন্যেরা তাদের প্রেমে পড়বে, তা-ই নিয়ম।”__হুমায়ূন আহমেদ
২৬। সমুদ্রের জীবনে যেমন জোয়ার-ভাটা আছে, মানুষের জীবনেও আছে। মানুষের সঙ্গে এই জায়গাতেই সমুদ্রের মিল। __হুমায়ূন আহমেদ
২৭। মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলোই ধরণীর আসল রূপ দেখতে পায়। __হুমায়ূন আহমেদ
২৮। মায়ের গায়ে কোন দোষ লাগে না। ছেলে-মেয়ে মায়ের ত্রুটি দেখবে না। অন্যেরা হয়ত দেখবে, সন্তান কখনও না। __হুমায়ূন আহমেদ
২৯। একজন মানুষকে সত্যিকারভাবে জানার উপায় হচ্ছে তার স্বপ্নটা জানা। __হুমায়ূন আহমেদ
৩০। বড় বোকামিগুলি বুদ্ধিমান মানুষরাই করে।__হুমায়ূন আহমেদ
জীবন যুদ্ধে সফল এই মানুষটি দুরারোগ্য ব্যাধির কাছে পরাজয় স্বীকার করে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই চলে যান ওপারে। তবে হুমায়ুন আহমেদের বাণী এবং তার অসাধারণ সৃষ্টি পৃথিবীর বুকে বেঁচে থাকবে এবং তাকে চিরস্মরণীয় করে রাখবে।

Bachelor of Business Administration,
East West University